আমি অনন্যার প্রধান সম্পাদক ড. দীপক কুমার সেন

       ইমেইল-drdksen@gmail.com / shilpeyanonyya@yahoo.com 

 সুশান্ত কুমার রায়

সাহিত্য মানব জীবনের প্রতিফলন মাত্র, যেখানে তুলে ধরা হয় মানুষের জীবনের নানাপ্রসঙ্গ কথা, তুলে ধরা হয় মানব সভ্যতার ইতিহাসের কথা। "আমি অনন্যা" একটি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-ইতিহাস ও বিজ্ঞান বিষয়ক ত্রৈমাসিক গবেষণামূলক পত্রিকা। পত্রিকাটির নান্দনিক প্রচ্ছদ, বিষয়ভিত্তিক লেখার অলঙ্করণ সত্যিই অতুলনীয় ও প্রশংসাযোগ্য। প্রধান সম্পাদক ড. দীপক কুমার সেন। ড. দীপক কুমার সেন এর ভাষায়- "বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার কল্পে স্বল্প পরিসরে হলেও আমাদের সীমিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর সাহিত্যকে কখনই আঞ্চলিকতার সীমায় বেঁধে রাখা যায় না। কারণ এইরকম প্রয়াস সাহিত্যের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। আসলে কথা স্থান নয়-লেখা। লেখা যদি ভালো হয়, তা যেখান থেকেই আসুক না কেন- তা সাদরে "আমি অনন্যা"য় গ্রহণ করা হয়। এতে সহজেই অনুমেয় আমি অনন্যা একজন লেখক ও পাঠককে অতি সহজেই আপন করতে জানে নির্দ্বিধায়"। 

"আমি অনন্যা" প্রকাশিত হয়ে আসছে ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশের ধানবাদ থেকে। পত্রিকাটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালে একটি পারিবারিক পত্রিকা হিসাবে। Indian School Of Mines, ধানবাদ এর তৃতীয় হোস্টেল এর ছয় নম্বর কক্ষে ড. দীপক কুমার সেন অত্যুৎসাহী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন জুনিয়র রিসার্স ফেলো মিলে পত্রিকাটির প্রকাশ শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের "অক্টোবর- ডিসেম্বর" সংখ্যা থেকে " আমি অনন্যা " নামকরণ করে শুরু হয় পত্রিকাটির নবযাত্রা। তারপর পত্রিকাটি International Standard Serial Number ( ISSN) 2394-4307 পায় সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণামূলক পত্রিকা হিসাবে। প্রধান সম্পাদক ড. দীপক কুমার সেন বলেন- শুরু থেকে "আমি অনন্যা"র এই সুদীর্ঘ যাত্রাপথ মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিলনা। বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে ধানবাদের মতো রুক্ষ- শুষ্ক ধরিত্রীর বুকে প্রাণরস সংগ্রহ করে পত্রিকাটিকে টিকিয়ে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছিল। সেই অসমতল প্রতিবন্ধকতার খাড়াই-উৎরাই পেরিয়ে "আমি অনন্যা" আজ অনন্য আলোকিত ও প্রতিষ্ঠিত একটি গবেষণামূলক পত্রিকা । পত্রিকাটির জন্ম ও পরিচালনা কয়লার রাজধানী ধানবাদের বুকে হলেও আমি অনন্যা অন্যান্য দেশের বাইরে অন্যান্য দেশে বাংলা ভাষাপ্রেমি লেখক পাঠক-পাঠিকাদের কাছে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে আর প্রশংসিত হয়ে আসছে বিষয়বৈভবে ভরপুর ভিন্নস্বাদের গবেষণাধর্মী লেখার কারণে ।